পীরগঞ্জে সুর্যমুখী চাষে কৃষকদের গ্রহ বাড়ছে

পীরগঞ্জে সুর্যমুখী চাষে কৃষকদের গ্রহ বাড়ছে

বং সেচও কম লাগে । এ ফুলের চাষ করলে ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়। আর সূর্যমুখীর বীজ থেকে যে তেল উৎপন্ন হয় তা স্বাস্থ্য সম্মত ও মানস¤পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমুখী তেলের অবস্থান। এ তেল সোয়াবিন ও সরিষা ভোজ্য তেলের ঘাটতি পুরণ করে ।বখতিয়ার রহমান,পীরগঞ্জ(রংপুর) ঃ
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সুর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। অনেকে সখ করে প্রথম বারের ন্যায় আবার অনেকে পুনরায় সুর্যমুখী চাষ করছেন । ফলে পীরগঞ্জে সুর্যমুখী চাষে উজ্জল সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে ।
চলতি মরশুমে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি তাদের জমিতে সুর্যমুখী চাষ করেছেন এমন ক’জন কৃষকদের মধ্যে পীরগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক আবু আজাদ বাবলু এর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ৫০ শতক জমিতে সুর্যমুখী চাষ করেছেন । এতে তার প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে । উপজেলা কৃষি বিভাগ যদি উৎপাদীত এ সুর্যমুখীর বীজ বিক্রির ব্যবস্থা করেন তবে তিনি লাভের প্রত্যাশা করছেন ।

একই অভিমত সুর্যমুখী চাষী হিলি গ্রামের ইকতিয়ার মিয়া, আশরাফ আলী, তুলারামপুরের দুলা মিয়া, রসুলপুরের শাহ আলম ও জামালপুরের আনারুল ইসলাম সহ আরও অনেকের । কৃষকেরা জানান,পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও কৃষি বিভাগ থেকে প্রণোদনা সুবিদা পেয়ে তারা সুর্যমখী চাষে আগ্রহ হয়ে উঠেছে । সে সঙ্গে তারা এ ফসল উৎপাদনকে বেশ লাভ জনক মনে করে আগ্রামীতে আরও বেশী পরিমান জমিতে সুর্যমুখী চাষ করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ।
এদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে চলতি মরশুমে পীরগঞ্জে সুর্যমুখী চাষের কোন লক্ষ্যমাত্রা না থাকলেও কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও কৃষকের আগ্রহের কারনে এবারে পীরগঞ্জে ১ শ’৫০ একর জমিতে সুর্যমুখী চাষ হয়েছে এবং আগ্রামীতে এর পরিমান আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে । সুর্যমুখী চাষ পরিবেশ বান্ধব এ
পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার সুর্যমুখী চাষের ব্যাপারে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পুর্বে সুর্যমুখীর বীজ বাজারজাত করনে সমস্যা ছিল । এখন সে সমস্যা কেটে গেছে । এ ছাড়া কৃষি বিভাগও কৃষকদের উৎপাদিত সুর্যমুখীর বীজ পর্যাপ্ত মুল্যে বিক্রির ক্ষেত্রে সহায়তা করছে । আর যে কারনে পীরগঞ্জে সুর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে ।

আপনি আরও পড়তে পারেন